কক্সবাজার, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

আবারও বাড়তে শুরু করেছে রেমিট্যান্স

২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে ধারাবাহিকভাবে কমে যাচ্ছিল রেমিট্যান্স। বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসে ধারাবাহিকতা রোধ হয়। ডিসেম্বরের পরে গত জানুয়ারি মাসেও আগের মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে।

অবশ্য আগের বছরের একই মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স কিছুটা কম এসেছে। করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ভাটা পড়ে। তবে এই মহামারির মধ্যেও প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠানো অব্যাহত রেখেছিলেন। এতে প্রথম দিকে প্রতি মাসেই বেড়েছে রেমিট্যান্সের পরিমাণ। তবে গত বছর এপ্রিল মাসের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে রেমিট্যান্স কমতে থাকে। গত ডিসেম্বরে এসে তার অবসান হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত জানুয়ারি মাসে দেশে ১৭০ কোটি মার্কিন ডলার বা ১ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ১৪ হাজার ৬২০ কোটি টাকা (১ ডলারে ৮৬ টাকা ধরে)। যা আগের মাস ডিসেম্বরের চেয়ে ৬০২ কোটি টাকার বেশি। গত ডিসেম্বর মাসে প্রবাসীরা দেশে পাঠান ১৬৩ কোটি ডলার, যা দেশীয় মুদ্রার হিসাবে ১৪ হাজার ১৮ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত বছরের একই মাসের তুলনায় এবার রেমিট্যান্স কমেছে ২ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৬ কোটি ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার পেছনে দুটি কারণ রয়েছে। এর একটি হলো—সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী প্রণোদনা দেওয়া, যেটা আবার বেড়ে আড়াই শতাংশ হয়েছে। অপর কারণটি হলো—ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া। অর্থাত্ এখন ডলারের বিপরীতে বেশি টাকা পাওয়া যাচ্ছে। এসব কারণে প্রবাসীরা বৈধ পথে টাকা পাঠাতে উত্সাহিত হচ্ছেন। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে সরকার রেমিট্যান্স প্রবাহে নগদ প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ করে। এরই ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে এ সূচকে। এছাড়া বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়ায় সেসব দেশ থেকে বেশি রেমিট্যান্স আসছে। নগদ সহায়তা বাস্তবায়ন হওয়ায় আগামীতে বৈধ চ্যানেলে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স আসবে বলে আশা করা যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে আরো জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ২৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮৭ হাজার ২১ কোটি ৩০ লাখ টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার কম। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ২৯৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা।

পাঠকের মতামত: